দক্ষিণ বড়পাড়া ও পশ্চিম হাজিপাড়া সড়কের বেহাল দশা, বেড়েছে ভোগান্তি
- আপলোড সময় : ০৩-১২-২০২৪ ১২:৩৩:২০ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৩-১২-২০২৪ ১২:৩৩:২০ অপরাহ্ন
জিয়াউর রহমান ::
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের দক্ষিণ বড়পাড়া ও পশ্চিম হাজিপাড়া সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়া সড়কটির দুইদিকের অংশ পাকা থাকলেও মাঝখানের কিছু জায়গা কাচা রয়েছে। এই স্থানে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তে পানি জমে ভোগান্তি আরও বেড়ে যায়। এ অবস্থায় ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছেন স্থানীয়রা। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
স্থানীয়রা জানান, পৌর শহরের ভিতরে এক অজপাড়াগাঁয়ে আমরা বসবাস করি। প্রয়াত মেয়র আয়ূব বখত জগলুলের আমলে ৭৪৮ মিটার রাস্তাটি নির্মাণ হয়। রাস্তা নির্মাণের পরে লোকজন নির্বিঘেœ চলাচল করেন। পরে রাস্তাটিতে ইট সলিং করা হয়। পৌরসভার এই রাস্তা দিয়ে ইলেকট্রিক লাইন, পানির লাইন নেয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে এই রাস্তাটি জনগণের চলাচলের জন্য আরো সুবিধাজনক করার জন্য আরসিসি ঢালাই দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু রাস্তাটি ঢালাই করে পাকা সড়ক ঠিকই হয় তার মধ্যে কিছু জায়গা কাচা থেকে যায়। যার ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। এখন ইচ্ছে করলেও কেউ সরাসরি সিএনজি, রিকসা, অটো করে পশ্চিম হাজীপাড়া রাস্তা দিয়ে গন্তব্যে আসতে পারেন না।
এলাকার বাসিন্দা অ্যাডভোকেট আঃ খালেক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ধনু মিয়া, অবরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট জমির আলী, মহিবুর, নুর ইসলাম, আঃ আউয়াল প্রমুখ জানান, এই রাস্তাটি এখন আমাদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুই দিকে পাকা, মাঝখানে কিছু জায়গা মাটির থাকায় সড়কটি পৌরসভা দেখভাল করে না। এজন্য এই রাস্তায় গর্ত হয়ে পানি জমাটবেঁধে থাকে। আমাদের বাচ্চাদের স্কুলে যেতে কষ্ট হয়। অনেক রাস্তা হেটে যেতে হয়। কারণ গর্ত থাকায় কোন গাড়ি আসে না। আমরা এলাকার বাসিন্দাগণ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। আমাদের জোর দাবি রাস্তাটি পাকা করে আমাদের চলার পথ করে দেয়ার জন্য।
স্থানীয় বাসিন্দা নুর উদ্দিন বলেন, একজন মুমূর্ষু রোগীকে হাসপাতালে নিতে হলে এই রাস্তা দিয়ে কোন গাড়ি পাওয়া যায় না। তখন নদীর পাড় দিয়ে যাওয়া লাগে। গত ২৬ নভেম্বর এলাকার প্রায় ৪০/৫০ জনের স্বাক্ষরিত একটি আবেদন অ্যাডভোকেট আব্দুল খালেক পৌরসভার প্রশাসকের কাছে যথাযথ মাধ্যমে দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কালী কৃষ্ণ পাল বলেন, রাস্তাটির জন্য আমাদেরও কষ্ট লাগে। টেন্ডার হওয়ার পরও আমরা পুরো রাস্তাটি পাকা করতে পারিনি আইনি জটিলতার জন্য। দুই দিক পাকা হলেও মাঝে একটু জায়গা পৌরসভার বাসিন্দা মাহবুব এবং খালেদ পীর দু’জনের। এই জায়গার সমস্যার জন্য পুরো রাস্তাটি পাকা করতে পারিনি। আমরা বাজেটের অতিরিক্ত টাকা পৌরসভায় জমা দিয়েছি। এখন এলাকার বাসিন্দারা মিলে মাহবুব এবং খালিদ পীরসহ সবাই জায়গার একটা সমাধান করলে আমারা রাস্তাটি করে দিতে পারবো।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ